সন্তান আল্লাহর দেওয়া অনেক বড নেয়ামত। যাদের ঘরে সন্তান নেয়,তাদের কে দেখলেই ভালো বুঝা যাবে যে সব কিছু থেকে ও যেন কিছু নেই। ( তবে যাদের সন্তান হয়না তাদের জন্যে ও সমস্যার সমাধান কোরআন এবং হাদীসে বিদ্যমান আছে )
সন্তান গর্ভে ধারণের ১ম, ২য় ও ৩য় মাসে গর্ভবতী মহিলা সূরা লোকমান ও সূরা ইনশিক্বাক পড়ুন।
৪র্থ , ৫ম ও ৬ষ্ঠ মাসে সূরা ইউসুফ ও আল ইমরান পড়ুন।
আর ৭ম, ৮ম ও ৯ম মাসে সূরা মারইয়াম ও সূরা মুহাম্মাদ পড়ুন। সূরা লোকমান পড়লে গর্ভের সন্তান
জ্ঞানী, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও হেকমত ওয়ালা হয়।
সূরা ইনশিক্বাক পড়লে গর্ভের সন্তান সকল
প্রকার ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকে।
সূরা ইউসুফ পড়লে গর্ভের সন্তানের রুহানী ও
জিসমানী উভয় দিক সুন্দর হয়।
সূরা আল ইমরান পড়লে গর্ভের সন্তান
দ্বীনের পথে আহবানকারী হয়।
সূরা মারইয়াম পড়লে গর্ভের সন্তান
পরহেজগার ও আল্লাহ ভীরু হয়।
সূরা মুহাম্মাদ পড়লে গর্ভের সন্তান সুন্দর
চরিত্রের অধিকারী হয়।
এছাড়াও সন্তান গর্ভে থাকাকালীন
মায়েদের উচিত বেশী বেশী কোরআনুল
কারীম তিলাওয়াত করা, নিয়মিত নামায
আদায় করা ও ধর্মীয় বই পড়া। কারণ, এসময়ে
মায়েরা যে কাজ গুলো করে থাকেন,
সন্তানের আচরণের উপর তার প্রভাব পড়ে। এ
সময়ে পরনিন্দা-পরচর্চা করা, ঝগড়া করা,
গালা-গালি করা ও অন্যান্য মন্দ কাজ
থেকে বিরত থাকা বাঞ্চনীয়।
গর্ভকালীন সময়ে যে সমস্ত কাজ নবীজি (দ) প্রায় ১৪৫০ বছর নিষেধ করেছিলেন,বর্তমান ডাঃ বিজ্ঞানী গন সেই সমস্ত কাজ গুলিই মা এবং সন্তানের জন্য ক্ষতি কারক বলেই প্রামান করেছেন।
*বি:দ্র:-
* সন্তান হওয়া না হওয়া আল্লাহ পাকের ইচ্ছা। আর ছেলে হোক মেয়ে হোক তা আল্লাহ পাকের ই মর্জি।
আর এই ক্ষেত্রে, মা'য়েদের দোষারোপ করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।)
*আল্লাহ, গর্ভবতী মা'দের সদা ভালো রাখুন...আমিন
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.