তবে সফলতার জন্য কাজ করতে হয় কার্যকরভাবে। এর জন্য আহামরি ভাগ্যবান না হলেও চলে। সফলতার জন্য চাই কিছু অতি সহজ কাজ, যা আমাদের দ্রুতই গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। আসুন জেনে নেই কী সেই কাজ।
শিক্ষাগ্রহণ
শিক্ষাজীবন যার যত বেশি সমৃদ্ধ তার জীবন যুদ্ধ ততই সহজ। আমরা সফলতাকে যদি একটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে গ্রহণ করি তবে অবশ্যই এর হাতিয়ার হল শিক্ষা। আমরা জীবন চলার পথে চ্যালেঞ্জ গ্রহণে ভয় পাই। যার মূলেই রয়েছে শিক্ষার অভাব। ভর্তিযুদ্ধ, চাকরির বাজার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই রয়েছে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি। যার মধ্যে কেবল যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিজের জায়গা করে নিতে হবে। শিক্ষাই তৈরি করে দিবে এই যোগ্যতা।
বিশ্বাস রাখা
অনেকের মধ্যেই দো’টানা ভাব দেখা যায়। আমার দ্বারা হবে না, আমি পারবো না, আমি কী সত্যিই পারবো? এ ধরনের নানাবিধ ভয় আমাদের মাঝে ভর করে। যা শুধু হতাশা আর পিছিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কিছু দেয় না। এই হতাশা, ভয় আর দো’টানা ভাব দূর করতে চাই নিজের উপর বিশ্বাস। কেউ একজন যদি পারে তবে অবশ্যই আমিও পারবো। এ ধরনের দৃঢ় বিশ্বাস রাখা উচিত।
স্বপ্ন দেখা
আমরা অনেক বেশি স্বপ্ন দেখি। তবে এমন স্বপ্ন দেখতে নারাজ যা আমাদের ঘুমাতে দেয় না। অনেকে আবার স্বপ্ন দেখতে ভয় পান। হয়তো ভাবেন স্বপ্ন দেখাটা অন্যায়। অথচ মানুষ তার স্বপ্নের বড়, স্বপ্ন দেখতে পারাটাই সাহসীকতার পরিচয়। কারণ সফল ব্যক্তিরা স্বপ্ন লালন করতেন।
লক্ষ্য নির্ধারণ
স্বপ্নকে যখন সময়ের ফ্রেমে আটকানো যাবে তখনই তা হবে লক্ষ্য নির্ধারণ। আমরা এমন অনেক কিছু চাই, তবে তা কখন চাই- তা ঠিক করি না। যার ফলে তা কখনোই পাওয়া হয় না। চাওয়াকে পাওয়াতে পরিণত করতে আগে লক্ষ্যটাকে নির্ধারণ করতে হবে।
পরিকল্পনা
সফলতার পেছনে পরিকল্পনা অপরিহার্য। কঠোর পরিশ্রমের পরেও সফল না হওয়ার কারণ পরিকল্পনাহীন কাজ। পরিকল্পনা একটি কাজের অনেকটাই এগিয়ে দেয়। আমরা জানি, ‘পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি’/ তবে আমরা এখন থেকে মাথায় রাখবো- কায়িক পরিশ্রম নয়, বুদ্ধিদীপ্ত পরিশ্রম সফলতার সোপান।
শেষকথা
উপরের কাজগুলো সম্পাদনের পর আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো ‘কাজ করা’ আত্মবিশ্বাস রেখে সঠিক শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের স্বপ্ন ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে পরিকল্পনামাফিক কাজ করা। কাজ, কাজ আর কাজই হোক আমাদের একমাত্র কাজ।
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.