BREAKING NEWS

ads

Tuesday, May 16, 2017

আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন


আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন

 
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন ওদের চোখে। সাংবাদিকতার আকাশে ওরা হতে চায় এক একটি নক্ষত্র। আজ যে তরুণ তরুণীর উচ্ছলতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ মুখরিত, তারাই একদিন দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে পেশাদারিত্বের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে। এই আগমনি গান আর সম্ভাবনার দ্বারে দাঁড়িয়ে কি ভাবছে তারা, যাদের নিয়ে এতো আলোচনা?

নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হলে সাংবাদিকতার চেয়ে ভালো কোন বিষয় আছে কিনা জানিনা। নিজের পেশা আর নেশা যখন এক হয়ে যায় তখন সেই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অর্জন সম্ভব। সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হওয়ার কারণ এভাবেই জানালেন প্রথম বর্ষের ছাত্রী তৃষা।

সৌভাগ্য বড়ুয়ার সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ার কারণ একটু ভিন্ন। চোখ জুড়ে একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন এই তরুণের। তিনি জানালেন, সাক্ষাত্কারের দিন অন্য সব সাবজেক্ট থাকলেও আমার প্রথম পছন্দ ছিল সাংবাদিকতা। ধরা বাধা নিয়মের মাঝে থেকে আমার পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না। সাংবাদিকতা বিভাগে আমি আমার প্রতিভার সমস্তটুকুই দিতে পারবো বলে বিশ্বাস।

বর্তমানে সাংবাদিকতা একটি তুমুল জনপ্রিয় সাবজেক্ট। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সফল পদচারণা বর্তমান মিডিয়া জগতে। এমন একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হতে পারা রীতিমতো গর্বের। কথাগুলো বলছিলেন বিভাগের আরেক নবীন শিক্ষার্থী তাজিন।

সানজিদা জানালেন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়টা অন্যসব বিষয় থেকে আলাদা। আমরাতো সারা জীবন একটা যোগাযোগের মধ্য দিয়েই যাই। সেই যোগাযোগ বিষয়ে পড়তে পেরেতো অবশ্যই ভালো লাগছে। আর সাংবাদিকতাতো এখন পেশা হিসাবেও অনেক সম্মানের। সব মিলে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হিসাবে ভাবতে আমার খুবই ভালো লাগছে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেসব শিক্ষার্থীরা আজ সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়েছে, তাদের পরিচয় ভিন্ন, সংস্কৃতি ভিন্ন। কিন্তু এখন থেকে সবারই একটাই পরিচয় হবে, ওরা যোগাযোগ ও সাংবাদিকতার ছাত্র। নোমেনও বললেন তেমনটিই, নতুন ভর্তি হয়েছি। বন্ধুরা এসেছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। ফলে আমাদের মধ্যে সংস্কৃতির আদান-প্রদান ঘটছে। এটিও আমাদের কাছে যোগাযোগের একটি নতুন বিষয়ই বলতে পারেন। 

এক দশক আগেও নিজের পেশা সাংবাদিকতা বললে মানুষ অবজ্ঞা করতো। কিন্তু এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে। সাংবাদিকেরা এখন সম্মান পাচ্ছেন। আর এই সম্মানের পেছনে রয়েছে সাংবাদিকতা বিষয়ে এখন অনার্স বা মাস্টার্স করা যাচ্ছে। ফলে সাংবাদিকতার মান অদূর ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলেই আমার বিশ্বাস। বলছিলেন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী সাইফুল।

বেশ কয়েকজন আবার একসাথেই বললেন, মিডিয়াতো এখন আর সাংবাদিকতায় আটকে নেই। নাটক, সিনেমা আর বিজ্ঞাপন তৈরি করাও হবে আমাদেরই কাজ। মিডিয়ায় সৃজনশীল যতো কাজ, তার প্রতিটা ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চাই আমরা। আর যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ আমাদের এই আশার বাস্তবায়ন করতে পারবে বলেই বিশ্বাস। 

এই কচিকাঁচা স্বপ্নে ভরা শিক্ষার্থীদের দর্শন ভিন্ন হলেও সবার মনের ইচ্ছা একই, মিডিয়া জগতের নতুন তারকা হিসাবে আবির্ভাব হওয়া। অনেক তারা ঝরে যাবে, অনেক তারা সাফল্যের আলো ছড়াবে। তবে এই তরুণদের সাথে কথা বলে এটা বোঝা গেলো, বাধা এদের কাছে তুচ্ছ। স্বপ্ন নিয়েই সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে ওদের আছে দৃঢ় প্রত্যয়। তারুণ্যের স্বপ্ন আর প্রত্যয় কি কখনো বৃথা যেতে পারে! 

Share this:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.

 
Back To Top
Copyright © 2014 আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন। . Shared by Themes24x7