BREAKING NEWS

ads

Monday, December 11, 2017

ভাবিয়া করিও কাজ,করিয়া ভাবিও না

 মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজই গুরত্বপুর্ণ। মানুষ মাত্রই ভূল করে। তাই যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে আগে ভাল করে ভাবা উচিত। এটা সবচেয়ে মূল্যবান। কিন্তু কাজ হওয়ার পর হাজার বার ভাবলেও কোনো লাভ নেই। তাই বলা হয়,"ভাবিয়া করিও কাজ,করিয়া ভাবিও না।" ধন্যবাদ।


Sunday, December 10, 2017

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর


বিজয়ের মাস ডিসেম্বর 

আজ থেকে শুরু হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ত্রিশ লাখ শহীদ আর দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর এবারের বিজয়ের মাস বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হবে। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খন্ড। আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। সেই মহান গৌরব গাঁথারও ৪6 বছর পূর্ণ হবে এ মাসে। বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বেদনাবিঁধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর। এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল শামসদের সহযোগিতায় দেশের মেধা, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার এহেন ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোন নজীর বিশ্বে নেই। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল,স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে স্বাধীনতার ডাক দেন, সেখানেই পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাক জেনারেল নিয়াজী। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আর জাতি অর্জন করে হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা। ’৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী জল্লাদ বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের উপর অতর্কিতে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর এক অসম যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন । তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ রাতেই রাজারবাগ পুলিশ লাইনে সশস্ত্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় পাক হানাদার বাহিনী। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্যদিয়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
 






ময়মনসিংহ আঞ্চলিক ইজতেমা সফল হোক।

 ময়মনসিংহ আঞ্চলিক ইজতেমা সফল হোক।
21,22,ও 23 ডিসেম্বর 2017

Sunday, November 26, 2017

অনেক রাত হয়ে গেলো চোখে নেই ঘুম


  • ঘড়ির কাটার টিক টিক শব্দতো নয় যেন কেউ মাথার ভিতর হাতুড়ি পিটা করছে। ডিম লাইটের আলোতে ঘরের প্রায় সবকিছুই স্পষ্ট। সিলিঙে ঝুলানো ফ্যানটা কি একটু আস্তে ঘুরছে আজ? না! এসব ভেবে ভেবে বিছানায় এপাশ ওপাশ করার চেয়ে ওঠে পড়াই ভালো। বিছানা ছেড়ে রিয়া এগিয়ে গেল রাস্তার ধারের জানালাটার পাশে। পর্দা সরিয়ে তাকালো বাইরে, যেন একটু খুঁজে দেখছে কোনো বাড়িতে এখনো আলো জ্বলছে কিনা। ঘুমন্ত শহরে জেগে নেই কেউ, গলির মোড়ের নাইট গার্ড বাঁশি বাজিয়ে মিলিয়ে গেল অন্ধকারে। রিয়া ভাবলো কী করা যায়? কীইবা করার আছে তার এই রাতে? হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে রিয়া। ঘড়ির কাটা তিনটা ছুঁই ছুঁই। রাতের নিস্তব্ধতা যেন গিলে খাচ্ছে রিয়াকে। একোনো বিচ্ছিন্ন রাত নয়, দিনের পর দিন এভাবে বিনিদ্র রাত কাটায় রিয়া নিস্তব্ধতাকে সঙ্গী করে। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা হল এক ধরনের ঘুমের অবিরাম অস্বাভাবিকতা যা ব্যক্তির ঘুম আসতে বাধা দেয়, নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় অথবা একই সাথে ঘুম না আসা এবং ঘুমালে অল্প সময় পরেই ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার মত উপসর্গ নিয়ে জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। যদিও এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু তারপরেও সুনিন্দ্রাই নির্ধারণ করে ব্যক্তির সজীবতা, কাজ করার শক্তি ও স্পৃহা, মানসিক স্থিরতা, উচ্ছলতা এবং কাজের নৈপূণ্য ও জীবন যাপনের দক্ষতা। কথায় আছে বিছানায় শোয়ামাত্রই যিনি ঘুমিয়ে পড়তে পারেন, তিনিই পৃথিবীর সবচে সুখী ব্যক্তি। কথাটা একেবারে ফেলনা নয়। কারণ সুখ সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত সুস্থ দেহ সুস্থ মন- সবই নির্ভরশীল পরিপূর্ণ নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের ওপর। অথচ বহু মানুষ আছেন যারা প্রতিনিয়ত ভুগছেন নিদ্রাহীনতায়। আর প্রায়ই না বুঝেই অবহেলা করে বাড়াচ্ছেন জটিলতা। আপনি কি ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত- প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য আর সমস্যটি সঠিকভাবে নিরুপণ করা সম্ভব হলেই সমাধানের পথে এগুনো যায়। সাধারণত দুধরনের ইনসমনিয়া দেখা যায়- সাময়িক ইনসমনিয়া এবং দীর্ঘদিনের ক্রনিক ইনসমনিয়া। ইনসমনিয়া হওয়ার পেছনের প্রধান তিন কারণ আমাদের জীবনে সব সময় বিদ্যমান। কিন্তু এই তিন কারণকে মোকাবেলা করতে চাই মানসিক বল ও স্থিরতা। যেমন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তি অনিদ্রায় ভুগতে পারেন। হতে পারে সম্পর্কের বা চাকরি ক্ষেত্রের কোনো দুশ্চিন্তা কিংবা কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ বা ভুল বোঝাবুঝির কারণে অস্থিরতা অথবা পরীক্ষাভীতি বা ফল প্রকাশের ভয়ে ব্যক্তির রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাওয়া। সেক্ষেত্রে পরপর কয়েকদিন বা বেশ অনেকদিন যদি অনিদ্রায় বা স্বল্পনিদ্রায় রাত কাটে তবে বিষয়টি ইনসমনিয়া বলে বিবেচিত হবে। হতে পারে তা সাময়িক কিন্তু অবহেলা করলে চলবে না। তাছাড়া ইনসমনিয়ার আরেক কারণ শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা। শরীরে অসুখ নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই কিন্তু মনের অসুখ যেন সবসময় উপেক্ষিত, কখনো বা তাচ্ছিল্যের শিকার। অথচ অনিদ্রার পেছনের কারণ হতে পারে এ দুইই। ঘুম আসে না বলে আমরা বিরক্ত হই কিন্তু কেন ঘুম আসে না তা প্রায়ই খুঁজতে যাই না। আর তৃতীয় যে কারণটি ইনসমনিয়ার জন্য দায়ী তাহলো প্রাথমিকভাবে ঘুম না আসা। অর্থাৎ সামান্য কোনো কারণে হয়তো কয়েকদিন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলো বা বিনিদ্র রাত কাটলো কিন্তু তারপর ওই কারণ আর না থাকা সত্ত্বেও ঘুমের সম্যস্যাটি যদি রয়ে যায়। এক রাত দুরাত ঘুম না হলেই ইনসমনিয়ায় ভুগছেন তা ভাবার কারণ নেই। কিন্তু সত্যিই ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত অথচ বুঝতেই পারলেন না তাহলে আপনি আরো বড় সমস্যাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন জানবেন। সাময়িক ইনসমনিয়ার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোকে সাধারণত লক্ষ্য করা যায়, তার মধ্যে অতিমাত্রায় বা অস্বস্তিকর শব্দ, ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক না হওয়া, ঘুমানোর সরঞ্জাম যেমন বিছানা বালিশ আরামদায়ক না হওয়া, ঘরের পরিবেশ ঘুমের জন্য উপযোগি না মনে হওয়া, নতুন জায়গা বা হঠাৎ করে ভূপৃষ্ঠ থেকে উঁচু কোনো স্থানে যেমন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থানের কারণকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। তাছাড়া মানসিকভাবে চাপ অনুভব করলে সাময়িক অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। যেমন পরীক্ষার চাপ, ভালোবাসার মানুষকে হারানো বা কাছের মানুষের মৃত্যু, সম্পর্কের ভাঙ্গন, একাকীত্ব, বেকারত্ব প্রভৃতি কারণও সাময়িক ইনসমনিয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। অন্যদিকে দীর্ঘদিনের বা ক্রনিক ইনসমনিয়ার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোকে লক্ষ্য করা যায় তারমধ্যে মনস্তাত্ত্বিক বা মানসিক অবস্থার দীর্ঘদিনের প্রতিকূলতা সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করা হয়। যেমন দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক চাপে থাকলে বা বহুদিনের বিষন্নতা, একাকীত্ব উদ্বিগ্নতা ক্রনিক ইনসমনিয়ার কারণ হতে পারে। তাছাড়া মানসিক রোগ যেমন স্রিজফ্রেনিয়া, মোড ডিসঅর্ডার বা বাইপোলার ডিসঅর্ডার ইত্যাদিও এরজন্য দায়ী হতে পারে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিও ক্রনিক ইনসমনিয়ার রোগী হতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কখনো অনিদ্রার অবস্থাকে ক্রনিক ইনসমনিয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া শারীরিক অসুস্থতা যেমন দীর্ঘদিনের ক্রনিক ব্যথা, হৃদরোগ, আ্যজমা বা শ্বাসকষ্ট, আ্যসিডিটি ইত্যাদির কারণেও দীর্ঘধিনের ইনসমনিয়া হতে পারে। আর ব্রেইন টিউমার বা স্ট্রোকের রোগীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি খুবই বেশিমাত্রায় দেখা যায়। ইনসমনিয়ার উপসর্গ হিসেবে ঘুম না আসা, ঘুমালে মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া এবং আর ঘুম না আসা, খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া এবং ঘুম পুরো না হওয়া, ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তিবোধ, দিনভর ঝিমুনি আসা কিন্তু ঘুম না হওয়া, বিরক্তিবোধের মাত্রা বাড়া, যেকোনো বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠা বা বিষন্নবোধ করা, মনোযোগের অভাব বা মনে রাখতে না পারা, টেনশন করা, মাথা ব্যথা বা মাথা ধরা, সামিজিকতায় অস্বস্তি বা অনীহা দেখা দেয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো লক্ষ্য করা যায়। যখনই আপনি এমন কোনো উপসর্গ নিজের মধ্যে লক্ষ্য করবেন তখনই একটু বাড়তি সচেতন হয়ে উঠুন। প্রথমেই অনিদ্রার কারণটি সনাক্ত করার চেষ্টা করুন। কারণটি তুচ্ছ ভাবুন এবং মানসিক শক্তি দিয়ে সমস্যাটির মোকাবেলায় সচেষ্ট হোন। কায়িক পরিশ্রম বাড়িয়ে দিন। অবশ্যই দিনের নির্দিষ্ট সময়ে কিছু ব্যায়াম করুন। ঘুমের সময়ের আগেই নিজেকে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত করার চেষ্টা চালান, যেন ঘুম আসে। কখনোই ঘুমের ওষুধের প্রতি নির্ভরশীল হবেন না। আপনি যে বিষয়গুলো করতে পছন্দ করেন তা প্রাধান্য দিন। যেমন গান শুনতে ভালো লাগলে হাল্কা ভলিউমে গান ছেড়ে রাখুন বা বই পড়তে ভালো লাগলে বই নিয়ে বিছানায় যান। কখনোই ঘুম আসছে না কেন এ নিয়ে চিন্তা করবেন না। দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন এনে রাতকে অর্থবহ করে তুলুন। সাময়িক ইনসমনিয়ার সবচেয়ে বড় ওষুধ মেডিটেশন। মেডিটেশন শিখে নিন এবং দেহ মনকে প্রফুল্লতার সাথে শান্ত নিয়ন্ত্রিত রাখুন। তবে ইনসমনিয়া যদি ক্রনিক আকার ধারণ করে তবে অবশ্যই চিকিৎকের পরামর্শ নিন। কখনোই ওষুধের প্রতি নির্ভরশীল না হয়ে বরং আত্মোন্নয়নের প্রতি যত্নশীল হয়ে এ সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা চালান।

Thursday, September 7, 2017

আজ সত্যিই আমি অপরিচিত নিজের কাছে হারিয়ে ফেলেছি আমি, আমার আমি কে ছোট্ট কিছু স্বপ্ন ছিল বাস্ততা স্বপ্ন...

  Shaangodholi

আজ সত্যিই আমি অপরিচিত নিজের কাছে হারিয়ে ফেলেছি আমি, আমার আমি কে ছোট্ট কিছু স্বপ্ন ছিল বাস্ততা স্বপ্ন...

 
আজ সত্যিই আমি অপরিচিত নিজের কাছে
হারিয়ে ফেলেছি আমি, আমার আমি কে
ছোট্ট কিছু স্বপ্ন ছিল বাস্ততা স্বপ্ন গুলো কে বদলে দিল
আজ কষ্ট হচ্ছে না , দুঃখও নেই আমার ,
না হয় হেরে গেলাম জীবনের কাছে এই তো ??
একদিন আমিও তোমার কাছে স্মৃতি হয়ে যাবো
ভুল করেও হয়তো মনে পরবে না ,
ভাববে না কোন একজন ছিল
যে তোমায় তার পৃথিবী ভাবতো ,
হয়তো কিছু পুরনো স্মৃতি ভেবে
হাজারো নতুন স্মৃতির চাঁদরে ডেকে দেবে আমাকে
কষ্ট নেই তুমি ভুলে যাবে আমায়
হয়তো বাস্তবতা তোমায় বদলে দিয়েছে
তুমি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখে গেছ ।
সত্যিই তোমার তুলনা তুমি
খেলেছ আমার আবেগ গুলো নিয়ে
বদলে দিয়েছ কষ্টের রং দিয়ে আমার সোনালি স্বপ্ন গুলো ।
তবুও তুমি ভালো থেকো
যতটা ভালো থাকলে আর আমায় মনে পরবে না



 

আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন

Related image

 Image result for আকাশ  স্বপ্ন

Image result for আকাশ  স্বপ্ন

জান্নাতের দোয়া

 জান্নাতের দোয়া

 Related image  
 

কোন মুসলমানকে অভিশাপ দেওয়া এবং যে অভিশাপ পাওয়ার যোগ্য নয় তাকে অভিশাপ দেওয়া


image

কোন মুসলমানকে অভিশাপ দেওয়া এবং যে অভিশাপ পাওয়ার যোগ্য নয় তাকে অভিশাপ দেওয়া



অনেকেই রাগের সময় জিহবাকে সংযত রাখতে পারে না। ফলে বেদিশা হয়ে লা‘নত করে বসে। তাদের লা‘নতের কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। মানুষ, পশু, জড় পদার্থ, দিন-ক্ষণ এমনকি নিজের সন্তান-সন্ততিদেরও তারা লা‘নত করে বসে। দেখা যায়, স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে লা‘নত করে, আবার স্ত্রীও স্বামীকে লা‘নত করে। এটি একটি মারাত্মক অন্যায়। আবু যায়েদ ছাবিত বিন যাহহাক আনছারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ لَعَنَ مُؤْمِنًا فَهُوَ كَقَتْلِهِ ، وَمَنْ رَمَى مُؤْمِنًا بِكُفْرٍ فَهْوَ كَقَتْلِهِ ‘যে ব্যক্তি কোন মুমিনকে লা‘নত করল বা কাফের বলে গালি দিল, সে যেন তাকে হত্যা করল’।[2]
মহিলাদেরকে বেশী বেশী লা‘নত করতে দেখা যায়। এজন্যে নবী করীম (ছাঃ) মহিলাদের জাহান্নামী হওয়ার নানা কারণের মধ্যে এটি একটি বলে উল্লেখ করেছেন।[3] এমনিভাবে লা‘নতকারীরা ক্বিয়ামত দিবসে সুফারিশকারীও হতে পারবে না।
সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার এই যে, অন্যায়ভাবে লা‘নত করলে তা লা‘নতকারীর উপর বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে। তাতে লা‘নতকারী মূলতঃ নিজকেই আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করার জন্য প্রার্থনাকারী হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং খুব নিরুপায় না হলে ও শারঈ অনুমোদন ক্ষেত্র ব্যতীত লা‘নত করা ঠিক নয়।
[1]. লা‘নত অর্থ রহমত বা দয়া থেকে দূর করে দেওয়া। উহার বাংলা প্রতিশব্দ অভিশাপ। কাউকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করার জন্য বদ দো‘আকে এক কথায় লা‘নত বলে। অহেতুক লা‘নত এজন্যই মারাত্মক অপরাধ ও হারাম।-অনুবাদক
[2]. বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৪১০।
[3]. বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/১৯।

যেসব ব্যক্তির স্বপ্ন সত্য হয় বেশি!




 Image result for স্বপ্ন

যেসব ব্যক্তির স্বপ্ন সত্য হয় বেশি!


 
ইসলাম ডেস্ক: আমরা যখন ঘুমায়, ঠিক তখন বিভিন্ন স্বপ্ন দেখি। কিন্তু কিছু ব্যক্তির স্বপ্ন অনেক সময় বাস্তবে দেখা যায়। এ সম্পর্কে একটি হাদিস উল্লেখ করা হলো-
وعن أبي هريرة رضي الله عنه  أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: “إذا اقترب الزمان لم تكد رؤيا المؤمن تكذب، ورؤيا المؤمن جزء من ستة وأربعين جزءً من النبوة” متفق عليه،
وفي رواية: “أصدقكم رؤيا أصدقكم حديثاً”.
الحديث رواه البخاري في التعبير (باب القيد في المنام) ومسلم في أول كتاب الرؤيا.

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দিন যত যেতে থাকবে, কিয়ামত নিকটে হবে,  মুমিনদের স্বপ্নগুলো তত মিথ্যা হতে দূরে থাকবে। ঈমানদারের স্বপ্ন হল নবুওয়তের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ। (বর্ণনায় : বুখারী ও মুসলিম)
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, তোমাদের মধ্যে যে লোক যত বেশী সত্যবাদি হবে তার স্বপ্ন তত বেশী সত্যে পরিণত হবে।
এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম:
১. মুমিনের জীবনে স্বপ্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেয়ামত যত নিকটে আসবে ঈমানদারের স্বপ্ন তত বেশী সত্য হতে থাকবে।
২. ঈমানদারের জীবনে স্বপ্ন এত গুরুত্ব রাখে যে, তাকে নবুওয়তের ছিচল্লিশ ভাগের এক ভাগ বলা হয়েছে।
৩. মানুষ যত বেশী সততা ও সত্যবাদিতার চর্চা করবে সে ততবেশী সত্য স্বপ্ন দেখতে পাবে।
৪. যদি কেউ চায় সে সত্য স্বপ্ন দেখবে, সে যেন সৎ, সততা ও সত্যবাদিতার সাথে জীবন যাপন করে।

হুমায়ূন আহমেদ

 Related image

কাজী নজরুলের লেখা

  Related image

স্বপ্ন দেখার অজানা সাত


 

 

স্বপ্ন দেখার অজানা সাত

 ঘুমের মধ্যে আমাদের মস্তিষ্কের কর্মপ্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন ঘটে বলে আমরা জানি। কিন্তু তখন ঠিক কী হয়, সে বিষয়ে আমাদের ধারণা খুবই ভাসা ভাসা। এমনকি বিশেষজ্ঞরাও মানুষের ঘুমন্ত অবস্থার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে কেবল তত্ত্বই দিচ্ছেন। তবে স্বপ্ন দেখার বিভিন্ন দিক নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

বহুদিন ধরেই ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমের মধ্যে আমাদের মস্তিষ্ক সারা দিনের কর্মকাণ্ড বা ঘটনাবলিকে বাছাই ও সংরক্ষণের জন্য প্রক্রিয়াজাত করে। যত দিন যাচ্ছে, নতুন নানা গবেষণাও এই ধারণাকেই সমর্থন জোগাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্সা মনোবিজ্ঞানী রুবিন নাইমান মস্তিষ্ককে পরিপাকতন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘রাতের বেলায় মস্তিষ্ক প্রতীকী অর্থে (সারা দিনের সবকিছু) গিলে খায়, হজম করে এবং তা থেকে নির্যাসটুকু নিংড়ে নিয়ে বাকিটুকু বের করে দেয়।’

রুবিন নাইমান বলেন, ‘আর মস্তিষ্ক যা রেখে দেয় আমাদের স্মৃতিতে, চিন্তায়, তা-ই থাকে এবং স্বপ্নকে এ প্রক্রিয়ার পরিপাক পদ্ধতি বলা যেতে পারে।’ আমরা ভাবি, স্বপ্ন সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু জানি। হাফিংটন পোস্টের স্বপ্নসংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এখানে অজানা বা কম জানা কিছু তথ্য এবং কিছু ভুল ধারণা তুলে ধরা হলো।

আমরা সারা রাত ধরে স্বপ্ন দেখি
অনেকেই জানেন যে, ঘুমের ‘র্যাপিড আই মুভমেন্ট’ বা ‘আরইএম’ পর্যায়ে আমরা স্বপ্ন দেখি। কিন্তু চিকিত্সা মনোবিজ্ঞানী রুবিন নাইমান বলছেন, আসলে আমরা সারা রাত ধরেই স্বপ্ন দেখতে থাকি। তিনি বলেন, এই পর্যায়টাতে আমরা আসলে স্বপ্নের সঙ্গে অনেক বেশি একাত্ম থাকি। কিন্তু বাকি সময়টাতে আমরা তা ‘দেখতে পাই না’ বলে ‘স্বপ্ন দেখা’ চলছে না, বিষয়টি এমন নয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘আরইএম’ পর্যায় বাড়তে থাকে বলে আমরা রাতের তিন-ভাগের শেষ ভাগে বেশি স্বপ্ন দেখি।
অ্যালার্মে জাগলে স্বপ্ন মনে থাকে না
ঘড়ি বা মুঠোফোনের অ্যালার্মে ধরফড় করে আকস্মিকভাবে জেগে উঠলে তার ঠিক আগের মুহূর্তেই ঘুমের ঘোরে কী দেখছিলেন, কী ভাবছিলেন, তা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ কারণে এভাবে ঘুম থেকে জেগে উঠলে স্বপ্ন মনে থাকে না। এই চিকিত্সা মনোবিজ্ঞানী বলেন, স্বপ্ন মনে রাখার ভালো উপায় হলো ঘুম থেকে ধীরে ধীরে জেগে ওঠা, ধীরে ধীরে চোখ মেলা, বিছানায় গড়াগড়ি দেওয়া, তারপর ওঠা। তিনি আরও বলেন, ‘স্বপ্নে কী দেখছেন তা ধরে রাখতে তার পেছনে ছুটবেন না। স্বপ্নের পেছনে ছুটলে স্বপ্ন পালিয়ে যায়।’
স্বপ্ন মনে রাখা মস্তিষ্ক ভিন্নভাবে কাজ করে
২০১৪ সালের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিতই তাঁদের দেখা স্বপ্ন মনে রাখতে পারেন, তাদের মস্তিষ্কের বিশেষ একটি অংশে বিশেষ স্বতঃস্ফূর্ত কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। যারা স্বপ্ন মনে রাখতে পারেন, তাঁদের মস্তিষ্কের ‘টেমপোরো-পারিয়েটাল জাংশন’ নামক একটি অংশে এটা ঘটে। শুধু ঘুমের মধ্যেই নয়, জেগে থাকা অবস্থায়ও স্বপ্ন মনে রাখতে পারা আরা না-পারা এই দুই দল মানুষের মস্তিষ্কের এই অংশের কর্মকাণ্ড কিছুটা আলাদা। ওই গবেষণা থেকে দেখা যায়, যাঁরা ঘুমের মধ্যে হালকা শব্দেই জেগে ওঠেন বা নড়েচড়ে ওঠেন বা ঘুমের ঘোরেই শব্দের প্রতিক্রিয়া দেখান, তাঁদের মধ্যে স্বপ্ন মনে রাখার হার বেশি।
স্বপ্নের মধ্যেও শরীর সাড়া দেয়
জেগে থাকা অবস্থায় আমাদের শরীর যেভাবে সাড়া দেয় বা প্রতিক্রিয়া করে, ঠিক তেমনি স্বপ্নের মধ্যেও আমাদের শরীর সাড়া দিতে পারে। স্বপ্নে কিছু দেখে বা শুনে কিংবা স্বপ্নে কারও সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় হঠাত্ ঘুম ভেঙে গেলে আপনি জেগে উঠলেন। কিন্তু যার সঙ্গে কথা বলছিলেন, জেগে উঠে আপনি তাকে আর পাচ্ছেন না। এ অবস্থাটা খুবই হতাশাজনক নিশ্চয়ই। রুবিন নাইমান বলছেন, জেগে ওঠার পরও, চোখ মেলার পরও আমাদের শরীরে, মনে স্বপ্নের অবস্থাটা বা ওই ঘোরটা থেকে যায় বলেই এমন হয়। আর বাস্তবের মতোই ঘুমের মধ্যেও স্বপ্নে উত্তেজিত হয়ে পড়লে আপনার রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে বা অন্য কোনো আবেগের সঙ্গে খাপ খাইয়ে শরীরে অন্য কোনো উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।
স্বপ্নেও ‘সময়ের হিসাব’ বাস্তবের মতোই
স্বপ্ন নিয়ে বহুল প্রচলিত ধারণা হলো, এক সেকেন্ডের কয়েক ভাগের এক ভাগ সময়ে আমরা একটা লম্বা স্বপ্ন দেখে ফেলি বা স্বপ্ন খুবই স্বল্পকাল স্থায়ী হয়। কিন্তু রুবিন নাইমান বলছেন, স্বপ্ন আসলে টানা ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিটও স্থায়ী হতে পারে। রাতের প্রথম দিককার সময়ে স্বপ্ন মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী হলেও রাত বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে স্বপ্নের দৈর্ঘ্যও বাড়তে থাকে। কেননা রাতের শেষভাগেই ঘুমের ‘আরইএম’ পর্যায়টা দীর্ঘ হয়।
‘দুঃস্বপ্ন’ মানেই কেবল ভীতির স্বপ্ন নয়
‘খারাপ স্বপ্ন’ বা ‘দুঃস্বপ্ন’ অনেক সময়ই ভয়ের স্বপ্ন হয়ে থাকে কিন্তু এর ভেতরে অন্য গল্পও আছে। ২০১৪ সালের একটি নতুন গবেষণায় মনোবিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে, ‘দুঃস্বপ্ন’ অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তির ব্যর্থতা, দুঃশ্চিন্তা, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, বিভ্রান্তি বা এমন অন্যান্য মানসিক অবস্থার প্রতিফলন থেকে ঘটে থাকে। ১৩১ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর পরিচালিত এক জরিপ থেকে এটা লক্ষ করা হয়। ওই গবেষকেরা আরও জানান, পুরুষেরা মারামারি বা সংঘাত-সংঘর্ষের ‘দুঃস্বপ্ন’ বেশি দেখেন আর নারীরা ‘দুঃস্বপ্ন’ দেখেন সম্পর্কের সংকট নিয়ে।
স্বপ্নে মরে গেলেও তা বলতে আপনি বেঁচে থাকেন
‘স্বপ্নে দেখলাম আমি মরে গেছি’—এটা স্বপ্ন দেখা নিয়ে একটা খুবই সাধারণ অভিজ্ঞতা। অনেকেই বলে থাকেন, স্বপ্নে এমন মৃত্যু দেখাটা ভালো না। কিন্তু মনোবিজ্ঞানী রুবিন নাইমান বলেন, এটা নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু নেই। তিনি বরং বলছেন, ‘স্বপ্নে মরার সুযোগ পেলে তা মিস করাটা ঠিক হবে না! যান ওই ঘটনাটার অভিজ্ঞতাটা নিয়ে ফেলুন।’

 

 

Wednesday, September 6, 2017

Share aslamo alaykom.gif - 53 KB

Share aslamo alaykom.gif - 53 KB

আকাশ ছোয়া স্বপ্ন

Tuesday, September 5, 2017

আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন আমার

 

আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন আমার


নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছি আমরা কজন—আমি, মা, বাবা, আমার ছোট আপু আর ভ্যানচালক ডাকুদা। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে ভ্যান চালাতে গিয়ে ঘেমে নেয়ে একাকার তিনি। একটু ছায়ায় গিয়ে দাঁড়ালেন। আর আমার দৃষ্টি নদীর পাশের মরাকাটির খেলার মাঠের দিকে। আমার বন্ধুরা সবাই ক্রিকেট খেলছে সেখানে। আমারও তখন সেখানে থাকার কথা। দুদিন আগেই আমার এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অনেক আশা করেছিলাম, পরীক্ষা শেষে মুক্তবিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াব আর সারা দিন ক্রিকেট খেলব। অর্জুন আর রুবেলের শর্ট পিচ বলগুলো ঠিকমতো খেলতে পারি না। এই কয় মাসে অনুশীলন করে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠব। কিন্তু সেটা আর হলো না।


আমি ঢাকায় চলে যাচ্ছি। ওখানে আমি কলেজে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করব। আমার আপু-দুলাভাইয়ের বাসায় থেকে পড়ালেখা করতে হবে। ঢাকায় যাওয়ার কথা শুনে আমি প্রথমে খুব একটা অখুশি হইনি। প্রথমত আমি আমার কয়েক মাস বয়সী ভাগনি রিফাহকে খুব মিস করছিলাম। তার সঙ্গে খেলতে পারব সারা দিন, এই ভেবে খুব ভালো লাগছিল। আর ঢাকায় গেলে দুলাভাই আইসক্রিম কিনে খাওয়াবেন। আপু রান্না করবেন মজাদার নুডলস। এই সবকিছুর চেয়েও অনেক বড় একটা কারণ ছিল—নিজেকে ভালো একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখা। এটা ১৭ এপ্রিল ২০০২ সালের কথা।

এর পাঁচ বছর আগে ক্লাস সিক্সে যখন দিনাজপুর জিলা স্কুলে পড়ার সুযোগ এসেছিল, তখনো বাবা-মাকে ছেড়ে শহরে থাকব না বলে অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম। এরপর আমার শিক্ষক প্রাণ কুমার স্যার যখন ভর্তি ফরমে আমার স্বাক্ষর নিতে এসেছিলেন, আমি বাড়ির পেছনের খেতে লুকিয়ে ছিলাম প্রায় কয়েক ঘণ্টা। যতক্ষণ স্যার আমাকে শহরে নিয়ে না যাওয়ার ব্যাপারে সম্মতি না দেন। এবার আর সে পথে না গিয়ে সুবোধ বালকের মতো ঢাকায় যাচ্ছি পড়তে। নদী পার হওয়ার পর ভ্যানচালক ডাকুদা আমাকে আর বাবাকে বললেন ভ্যানে উঠে পড়তে। শহরে যেতে সময় লাগবে। মা আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার গালে অনেক আদর করে দিলেন আর বললেন ভালো করে পড়াশোনা করতে। আমি ভ্যানে উঠতেই মা কেঁদে ফেললেন। মার কান্না দেখে পাশ দিয়ে যাওয়া এক কাকা বললেন, মাস্টারনি এভাবে কাঁদলে ছেলের মন বসবে না তো ঢাকায়। আমিও মাকে বললাম, আপনি কাঁদলে আমি ঢাকায় যাব না। মা আঁচল দিয়ে চোখ মুছে কান্না ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করলেন।

ঢাকায় এসে সময়ের স্রোতে শহুরে জীবনের বাস্তবতা টের পেলাম। চার দেয়ালের মাঝখানের বদ্ধ জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠি আমি। এরপর ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলাম। এখানে এসে বুঝতে পারলাম নিজেকে ঝালিয়ে নেবার অফুরন্ত সুযোগ আমার সামনে। ধীরে ধীরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম, আমি আমার পরিশ্রম দিয়ে বাবা-মার মুখ উজ্জ্বল করব। একদিন আমার গ্রামের স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন দেখাব উজ্জ্বল ভবিষ্যতের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকে ইংরেজি ক্লাসে ​ম্যাডাম আমাদের সবাইকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে আমাদের স্বপ্ন কী বলতে বললেন। ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে স্পষ্ট দৃঢ়তা নিয়ে বলে ফেললাম, আমি এই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক হতে চাই। আমার কথা শুনে বন্ধুরা সবাই চোখাচোখি শুরু করল আর এই অধমের দুঃসাহস দেখে কেউ কেউ বিস্মিতও হলো। যা হোক, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একদিন আমার স্বপ্নগুলোও ডানা মেলতে শুরু করল।
২০১২ সালে আমি আমার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলাম। এরপর সে বছরই পিএইচডি করতে জার্মান ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রে এসেছি। এখানে আসার পর আমি স্বপ্ন দেখি আমার দেশেও একদিন আমি অনেক বড় একটা রিসার্চ ল্যাব গড়ে তুলব। সেখানে গবেষণা হবে ক্যানসার জিনোম সিকুএন্সিং আর ফাংশনাল জিনোম নিয়ে। আমরা আমাদের নিজস্ব ক্যানসার তথ্যভান্ডার গড়ে তুলব। সেখানে কাজ করবে আমার দেশের সব তুখোড় খুদে বিজ্ঞানীরা।
এসব আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছি গত তিন বছর ধরে। এখন যখন আমার দেশে ফেরার সময় হয়েছে, সময় হয়েছে আমার স্বপ্নগুলোকে রাঙিয়ে তোলার, তখনই নানা অনিশ্চয়তা আর রূঢ় বাস্তবতা সামনে আসতে শুরু করেছে। বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে গবেষণা খাতে আমাদের অর্জন যৎসামান্য। মেধা আর ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে আমরা এখনো সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। তার পরও স্বপ্নচারী মানুষের স্বপ্নযাত্রা থেমে থাকে না। এত সীমাবদ্ধতা পরও আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা পাটের জিনোমে রহস্য উন্মোচন করেছেন। কলেরা আর টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণায় আমরা অনেকের চেয়ে এগিয়ে। আমাদের দেশের ডিএনএ ল্যাব এখন অপরাধী শনাক্ত করতে আধুনিক কৌশল অবলম্বন করছে। সব সাফল্যের পেছনেই আছে অনেক বড় বড় স্বপ্ন আর স্বপ্ন দেখার জন্য স্বপ্নচারী আমার স্বপ্নও হয়তো একদিন পূর্ণ হবে। আগামী বিশ বছর পর হয়তো কার্জন হলের কোনো ল্যাবে বসে আমি আমার স্বপ্নের গল্প অন্যদের শোনাব আর তাঁর ফাঁকে এসে আমাদের ল্যাবের খুদে গবেষকেরা এসে বলবে, স্যার, আর্সেনিক দূষণের কারণে যেসব ক্যানসার হয়ে থাকে তাদের জিনোমে গবেষণা করে আমরা এমন একটি মিউটেশন পেয়েছি যেটা আর্সেনিকের জন্য হওয়া সকল ক্যানসারের মধ্যেই পাওয়া গেছে এবং সেগুলো ক্যানসার কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনে সাহায্য করে। আমি চোখে মুখে উত্তেজনার ভাব লুকিয়ে বলব, তাহলে আমরা কোষ বিভাজনে সেই প্রোটিনের ভূমিকা দেখতে চাই। কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে গিয়ে ওখানকার বায়ো ইমেজ প্রসেসিং ল্যাবের সঙ্গে কথা বল। তারা কোষ বিভাজনের সময় বিভিন্ন প্রোটিনের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করেন। এরপর খুদে গবেষকেরা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে আমি বিড়বিড় করে বলতে থাকব, ক্যানসার, এবার তোমার পাঁজর ভেঙ্গেই ছাড়ব। স্বপ্ন তো স্বপ্নই...সীমানা দিয়ে স্বপ্ন দেখার তো মানে হয় না।

Thursday, August 31, 2017

কিছু চাওয়া

✗ মনে যা চায় তা তুমি করো না কারণ মনের খারাপ দিকটাই বেশী সক্রিয় । . ✗ স্ত্রী যা চায় তার সবকিছু দিও না কারণ সব চাহিদার শেষ আছে তাদের চাহিদার শেষ নেই . ✗ মা বাবা যা চায় মুখের উপর না বলো না কারণ তারা অপারগ হয়েই তোমার কাছে কিছু আবদার করে । . ✗ মুখে যা চায় সব কিছু বলো না কারণ তোমার মুখের কুটুক্তি অন্য জনের কষ্টের কারণ হতে পারে . ✗ যৌবন যা চায় তা তুমি করো না কারণ যৌবন তোমার ফুরিয়ে যাবে পাপ তোমার রয়ে যাবে । . ✗ চোখ যা চায় তা তুমি দেখো না কারণ চোখের দেখাটাই তোমার মনে খারাপ প্রলোভন সৃষ্টি করে . ✗ জিহ্বা যা চায় তা সব তুমি খেয়ো না কারণ জিহ্বার জন্যই সব কিছু হালাল করা হয়নি . ✗ জীবন যা চায় তার সব কিছু আমরা পাই না কারণ জীবন কোন সাজানো নাটক নয় . ✗ আল্লাহ যা চায় তা আমরা করি না কারণ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসটা কাঁচের মতো ভঙ্গুর অল্পতেই বিশ্বাস ভেঙে ফেলি । . ✗ হাত যা চায় তা সবকিছু করো না কারণ এই হাতই তোমার বিরুদ্ধে পরকালে রাজ সাক্ষী হয়ে দাড়াবে ।

আমার স্বপ্নগুলো

আমিও কিছু বলতে চাই. . . আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন কেনই যেন মলিন হয়ে যাচ্ছে। আমার স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন, মা আর মাটিকে নিয়ে স্বপ্ন, আরো কতো স্বপ্ন। তবে আমার সব, সব স্বপ্ন আমাকে নিরাশ করছে। তবুও আমি স্বপ্ন দেখি - দু'চোখ ভরে স্বপ্ন আঁকি, মনে স্বপ্নের রং...

স্বপ্ন দেখে


যায় না ছোয়া স্বপ্ন কভু স্বপ্ন থাকে চোখের পাতায়, স্বপ্ন দেখে মানুষ তবু স্বপ্ন থাকে কাব্য খাতায়| স্বপ্ন যাত্রা দুর্গম হলেও মানুষ এই স্বপ্নে বাঁচে, স্বপ্ন গুলো বুকে পুষে আনন্দের তালে নাচে| স্বপ্ন দিয়ে স্বপ্ন বুনে স্বপ্ন ছোয়া সহজ...

স্বপ্ন খুঁজি

মেঘের কোলে ভাসিয়ে দিলাম আমার যত কল্পনা স্বপ্ন খুঁজি রোদেলা আকাশে স্বপ্ন খুঁজি হিমেল বাতাসে স্বপ্ন খুঁজি আলেয়ার আলোতে স্বপ্ন খুঁজি রাতের আঁধারে। স্বপ্ন খুঁজি ফেরিওয়ালার ঘাটে স্বপ্ন খুঁজি নীলিমার হাটে। স্বপ্ন খুঁজি পূর্ণিমার রাতে স্বপ্ন খুঁজি মুঠোভরা হাতে। 

স্বপ্ন

তোকে দেখিনা, কতো হাজার বছর হয়ে গেলো... স্বপ্ন হলো খেলার পুতুল স্বপ্ন ঝরা বকুল। স্বপ্ন হলো উড়াল গদ্য স্বপ্ন পঁচা পদ্য। স্বপ্ন হলো ফুলের পুকুর স্বপ্ন মরা কুকুর। স্বপ্ন হলো মিথ্যে আশা স্বপ্ন মিছে ভাষা। স্বপ্ন হলো কষ্ট পাওয়া স্বপ্ন হৃদয় চাওয়। স্বপ্ন হলো..

ছোয়াঁ

 আমার ব্লগ দেখার জন্য ধন্যবাদ ।কারো স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার কারো স্বপ্ন বাঁচার, কারো স্বপ্ন হাজার কষ্টেও একটুখানি হাসার। কারো স্বপ্ন মনের মানুষ হবে নিজের মত, কারো স্বপ্ন করব পূরণ ইচ্ছে আছে যত। কারো স্বপ্ন আকাশ-কুসুম ভরব জীবন সুখে, কারো স্বপ্ন গড়ব এ দেশ কাজ দিয়ে, নয়...

আকাশ ছোঁয়া

 আকাশ ছোঁয়া সাধ্য কী আর আকাশ ছোঁবো- ছুঁতে যে চাই তোমার হৃদয়, অনুভবের প্রতি ছোঁয়ায় বুঝতে পারি- আর কিছু নয়, সেখানে এক আকাশ রয়। হতাম যদি আকাশ আমি, মেঘবালিকা হতে তুমি- তোমার ছায়ায়, নীলের মায়ায়, দিগন্তে নাহয় দিতাম পাড়ি। নীল বেদনার কষ্ট যে নীল- নীল সাগরে পাই খুঁজে মিল,

আমার স্বপ্ন

 --স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্ট, হূদয় ভরে থাক !! ____স্বপ্ন আমার স্বপ্ন আমার আকাশ ছোঁয়া, মেঘ বৃষ্টি হাওয়া ! আকাশ নীলের স্বপ্ন বুকে, স্বপ্ন দেখে বাঁচা ! কষ্ট বুকে নদীর ঢেউ, জোয়ার ভাটায় কাঁদে ! ভোরের আলোয় কৃষক মাঠে, ধানের পাঁজায় হাসে !

Friday, August 11, 2017

সত্যি ভুল আমারই যে আমি তোমাকে পাগলের মতো ভালোবেসেছি।

 সত্যি ভুল আমারই যে আমি তোমাকে পাগলের মতো ভালোবেসেছি।
অপরাধ আমিই করেছি কারণ আমি তোমাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করেছি।
আর তাই এটুকু তো আমার প্রাপ্য ছিল।
তুমি ঠিকই করেছো।

সত্যিকারের ভালোবাসায় কোন কারন থাকে না ।

 

 

যে আপনাকে ভালোবাসে সে কখনো আপনাকে ছেড়ে দূরে যাবেনা।

ছেড়ে যাবার মতো হাজারও কারন থাকলেও 

থেকে যাবার জন্য একটি কারন সে খুজেঁ বের করবেই। 

এটাই হলো সত্যিকারের ভালোবাসা.......


আকাঁ ছবি

গর্ভবতী_মা'য়েদের_ইসলামের_দৃষ্টিতে_কিছু_করনীয়: - আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন

সত্যের পথে


 

  










 

Thursday, August 10, 2017

আমরা কেন স্বপ্ন দেখি? স্বপ্নের যৌক্তিক ব্যাখ্যা- সিগমুন্ড ফ্রয়েড

 নিদ্রায় কখনো স্বপ্ন দেখেনি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। কখনো কখনো স্বপ্নে মানুষের মনের আকাঙ্খা পূরণ হয়, কাঙ্খিত বস্তুর সান্নিধ্য পায়, প্রিয়তমার সংস্পর্শে যায় সর্বপরি নিজের মনের কামনা-বাসনা পূরণ হয়। এমন স্বপ্ন যা মানুষকে আনন্দ দেয় তা মানুষ 'ভালো স্বপ্ন'-রূপে গ্রহণ করে। আবার মাঝে মাঝে মানুষ স্বপ্নে এমন সব কাহিনী দেখতে পায় যা তার চাওয়া-পাওয়া পরিপন্থি। যা তাকে বেদনা দেয়, যার প্রতিফলন মানুষ তার জীবনে ঘটাতে চায় না। এমন স্বপ্ন তার কাছে 'খারাপ স্বপ্ন'-রূপে প্রতিয়মান হয়।


স্বপ্ন দেখে অনেকে হঠাৎ ভয়ে লাফিয়ে উঠে, এসি রুমের মধ্যে ঘামতে থাকে। আবার অনেকে স্বপ্ন দেখে মুখ থেকে হাসি পড়ে না সরারদিন। স্বপ্নের মধ্যে কথা বলা লোকের সংখ্যাও কমনা। আবর স্বপ্ন দেখে পেন্ট ভিজে যাওয়া-এমন ঘটনাও কিন্তু বিরল নয়। স্বপ্ন জিনিসটা কি? কেনই বা মানুষ নিদ্রায় স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নের সাথে মানুষের সম্পর্ক কি? স্বপ্ন নিয়ে গবেষনা চলে আসছে হাজার বছর আগে থেকে। ধর্মগুলোতেও স্বপ্নের তাৎপর্য গুরুত্ব সহকারে দেখানো হয়েছে। কোন কোন ধর্মে স্বপ্নকে বিধাতার অসীম নেয়ামতের ক্ষুদ্রাংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। কোথাও স্বপ্নকে দেখানো হয়েছে সতর্কবার্তা হিসেবে। অনেক ধর্মীয় গ্রন্ধ অনুযায়ী ঈশ্বর তার প্রিয় বান্দাদের স্বপ্নের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দেন। আবার খারাপ স্বপ্নগুলোকে শয়তানের কারসাজি হিসেবেও দেখানো হয়েছে। স্বপ্নে কোন কোন জিনিস দেখলে কি হয়, স্বপ্নের বাস্তব প্রতিফলন কি--এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় হাজারো বই আছে। যদিও এই বইগুলোর ব্যাখ্যার সাথে স্বপ্নের বাস্তব প্রতিফলন খুজে পাওয়া দুষ্কর।

ঊনিশ শতাব্দির শুরুর দিকে জার্মান স্নায়ুবিশারদ (neurologist) সিগমুন্ড ফ্রয়েড সর্বপ্রথম স্বপ্নের যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দাঁড় করেন যা এখন পর্যন্ত সর্বজন স্বীকৃত স্বপের ব্যাখ্যা। তিনি ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে The Interpretation of Dreams নামে একটি বই রচনা করেন। কেউ যদি এটাকে বাংলা 'খোয়াবনামা' টাইপের বই মনে করেন তাহলে ভুল হবে। এখানে স্বপ্নের কোন কল্পনাপ্রশ্রুত ব্যাখ্যা নেই। সিগমুন্ড ফ্রয়েড উক্ত বইয়ে অসংখ্য উদাহরন দিয়ে স্বপ্নের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করেছেন। বইটির প্রথম সংস্করণের শুরুতে তিনি লিখেছেন-

In the following pages, I shall demonstrate that there exists a psychological technique by which dreams may be interpreted and that upon the application of this method every dream will show itself to be a senseful psychological structure which may be introduced into an assignable place in the psychic activity of the waking state. I shall furthermore endeavor to explain the processes which give rise to the strangeness and obscurity of the dream, and to discover through them the psychic forces, which operate whether in combination or opposition, to produce the dream. This accomplished my investigation will terminate as it will reach the point where the problem of the dream meets broader problems, the solution of which must be attempted through other material.

সিগমুন্ড ফ্রয়েড একটি মনস্তাত্ত্বিক পন্থা আকিষ্কার করতে চেয়েছেন যার মাধ্যমে স্বপ্নের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব। সিগমুন্ড ফ্রয়েড-এর মতে স্বপ্নের সৃষ্টি হয় মানুষের ইচ্ছা পূরনের আকাঙ্খা থেকে। যেই ইচ্ছের সৃষ্টি হয় সাম্প্রতিক, নিকট বা দূরবর্তী অতীতে। তিনি তার বিশেষ যুক্তিগুলো প্রমাণে অসংখ্য উদাহরণ ব্যবহার করছেন।


সিগমুন্ড ফ্রয়েড মানুষের মনকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন।
>> সচেতন (Conscious mind)
>> অবচেতন (Subconscious mind)
>> অচেতন (Unconscious mind)

আমরা স্বজ্ঞানে যা করি তা পরিচালিত হয় Conscious mind দ্বারা। ধরুন, কেউ সোফায় বসে আরাম করে টিভি দেখছেন। এটা তার Conscious mind। এখন টিভিতে শাকিরার whenever wherever গানটি শুরু হলো। সাথে সাকিরার মালাত করা স্লিম ফিগারে ঝাকানাকা কোমর দোলানো বেইলী ডেন্স। সে অপলকে টিভির দিকে তাকিয়ে উপভোগ করছে। এটিও তার Conscious mind। এখন কেউ যদি সাকিরার সাথে ডেন্স করা বা তার সান্নিধ্য কামনা করে সেটা অন্তত টিভি সেটের সামনে সম্ভব না। তখনই তৈরি হয় অবচেতন বা Subconscious mind যার পুরোটাই কল্পনাপ্রসূত। Subconscious চিন্তা তৈরি হয় Conscious mind থেকে। অর্থাৎ যে বিষয় নিয়ে আপনি চিন্তা বা কল্পনা করবেন তার অবশ্যই কিছু বাস্তব ধারনা থাকবে হবে। যেমন- আমরা মহাবিশ্বের বিভিন্ন গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারছি কারণ বিজ্ঞান আমাদের এলিয়েন নামক একটা ধারনার সাথে পরচিয় করিয়ে দিয়েছে বলে।

টিভিতে শাকিরার বেইলী ডেন্স দেখে তার সাথে নিজেকে কল্পনা করাও Subconscious mind এর কাজ। একটা ২-৩ বছরের পিচ্চি বাচ্চা যখন টিভিতে আকর্ষণীয় কিছু দেখে তখন সে টিভি স্কৃনে হাতিয়ে সেটি পেতে চায়। তার কাছে কল্পনা বা Subconscious mind মূখ্য না। সে Conscious mind এবং ডাইরেক্ট একশনে বিশ্বাসী। তাই সে টিভি হাতিয়ে পরীক্ষা করে সবকিছু। এখন আমার বা আপনার পক্ষে পরিবারের সামনে টিভি হাতিয়ে তো শাকিরাকে পরীক্ষা করা সম্ভব না। আর লাখ টাকা খরচ করে শাকিরার লাইভ কনর্সাটে গিয়ে তার ডেন্স উপভোগ করার খায়েশও আমাদের নেই। অবশ্য, যাদের সামর্থ এবং ইচ্ছা আছে তাদের জন্য অবশ্যই বলবো বেস্ট অফ লাক ব্রো...। তবে আমার মত গরিবদের আশ্রয় নিতে হবে সেই Subconscious mind এর।

নিদ্রায় মানুষ অজ্ঞান অবস্থায় থাকে। আর তখনই Subconscious mind সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর এটিই হলো স্বপ্ন যা Unconscious mind এর কারসাজি। সিগমুন্ড ফ্রয়েড দাবি করেছেন- কোন স্বপ্নই আপনা আপনি তৈরি হয়না। "No dreams without link"...... অর্থাৎ পূর্ববর্তী কোন কল্পনা, ধারনা, না পাওয়ার বেদনা ইত্যাদি নিদ্রায় স্বপ্ন তৈরি করে। অনেকে হয়তো দাবি করতে পারেন যে - কাল আমি এমন এক অদ্ভূত স্বপ্ন দেখেছি যা আমি ইহ জিন্দিগিতেও কল্পনা করিনি। তবে সিগমুন্ড ফ্রয়েড-এর মতে ৪-৫ বছর বয়সের কল্পনা বুড়ো বয়সে এসেও নিদ্রায় স্বপ্নে আসতে পারে। অর্থাৎ কল্পনা করে ভুলে গেলেও সেটি স্বপ্নে দেখা সম্ভব। বাকিটা আল্লায় জানে।

মূলত Subconscious mind টাই সক্রিয় হয়ে উঠে স্বপ্নে। শাকিরার সাথে ডেন্স করার কল্পনা থেকেই Unconscious mind এ অনেকটা জীবন্ত অবস্থায় শাকিরার সাথে সক্রিয় হওয়া সম্ভব। পূর্বেই বলেছিলাম, স্বপ্নে অনেক সময় পেন্ট ভিজে যায়। স্বপ্নদোষ যাকে বলে আরকি। যদিও এখানে স্বপ্নের কোন দোষ নেই। দোষ যত সেই Subconscious mind এর।

যাই হোক, বইটি পড়ে দেখতে পারেন । ভালো লাগবে। অবাক করা অনেক উদারণ পাবেন। যদিও আমি নিজে বইটা শেষ করি নাই। দাতভাঙা ইংরেজী পড়তে কার ভালো লাগে বলেন? এক স্যারের লেকচার শুনে অনেকটা কৌতুহল বসত বইটি হালকা-পাতলা ঘাটাকাটি করলাম।

Thursday, August 3, 2017

pik

আকাশ ছোয়া স্বপ্ন

Tuesday, May 16, 2017

আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন


আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন

 
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন ওদের চোখে। সাংবাদিকতার আকাশে ওরা হতে চায় এক একটি নক্ষত্র। আজ যে তরুণ তরুণীর উচ্ছলতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ মুখরিত, তারাই একদিন দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে পেশাদারিত্বের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে। এই আগমনি গান আর সম্ভাবনার দ্বারে দাঁড়িয়ে কি ভাবছে তারা, যাদের নিয়ে এতো আলোচনা?

নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হলে সাংবাদিকতার চেয়ে ভালো কোন বিষয় আছে কিনা জানিনা। নিজের পেশা আর নেশা যখন এক হয়ে যায় তখন সেই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অর্জন সম্ভব। সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হওয়ার কারণ এভাবেই জানালেন প্রথম বর্ষের ছাত্রী তৃষা।

সৌভাগ্য বড়ুয়ার সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ার কারণ একটু ভিন্ন। চোখ জুড়ে একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন এই তরুণের। তিনি জানালেন, সাক্ষাত্কারের দিন অন্য সব সাবজেক্ট থাকলেও আমার প্রথম পছন্দ ছিল সাংবাদিকতা। ধরা বাধা নিয়মের মাঝে থেকে আমার পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না। সাংবাদিকতা বিভাগে আমি আমার প্রতিভার সমস্তটুকুই দিতে পারবো বলে বিশ্বাস।

বর্তমানে সাংবাদিকতা একটি তুমুল জনপ্রিয় সাবজেক্ট। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সফল পদচারণা বর্তমান মিডিয়া জগতে। এমন একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হতে পারা রীতিমতো গর্বের। কথাগুলো বলছিলেন বিভাগের আরেক নবীন শিক্ষার্থী তাজিন।

সানজিদা জানালেন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়টা অন্যসব বিষয় থেকে আলাদা। আমরাতো সারা জীবন একটা যোগাযোগের মধ্য দিয়েই যাই। সেই যোগাযোগ বিষয়ে পড়তে পেরেতো অবশ্যই ভালো লাগছে। আর সাংবাদিকতাতো এখন পেশা হিসাবেও অনেক সম্মানের। সব মিলে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হিসাবে ভাবতে আমার খুবই ভালো লাগছে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেসব শিক্ষার্থীরা আজ সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়েছে, তাদের পরিচয় ভিন্ন, সংস্কৃতি ভিন্ন। কিন্তু এখন থেকে সবারই একটাই পরিচয় হবে, ওরা যোগাযোগ ও সাংবাদিকতার ছাত্র। নোমেনও বললেন তেমনটিই, নতুন ভর্তি হয়েছি। বন্ধুরা এসেছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। ফলে আমাদের মধ্যে সংস্কৃতির আদান-প্রদান ঘটছে। এটিও আমাদের কাছে যোগাযোগের একটি নতুন বিষয়ই বলতে পারেন। 

এক দশক আগেও নিজের পেশা সাংবাদিকতা বললে মানুষ অবজ্ঞা করতো। কিন্তু এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে। সাংবাদিকেরা এখন সম্মান পাচ্ছেন। আর এই সম্মানের পেছনে রয়েছে সাংবাদিকতা বিষয়ে এখন অনার্স বা মাস্টার্স করা যাচ্ছে। ফলে সাংবাদিকতার মান অদূর ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলেই আমার বিশ্বাস। বলছিলেন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী সাইফুল।

বেশ কয়েকজন আবার একসাথেই বললেন, মিডিয়াতো এখন আর সাংবাদিকতায় আটকে নেই। নাটক, সিনেমা আর বিজ্ঞাপন তৈরি করাও হবে আমাদেরই কাজ। মিডিয়ায় সৃজনশীল যতো কাজ, তার প্রতিটা ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চাই আমরা। আর যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ আমাদের এই আশার বাস্তবায়ন করতে পারবে বলেই বিশ্বাস। 

এই কচিকাঁচা স্বপ্নে ভরা শিক্ষার্থীদের দর্শন ভিন্ন হলেও সবার মনের ইচ্ছা একই, মিডিয়া জগতের নতুন তারকা হিসাবে আবির্ভাব হওয়া। অনেক তারা ঝরে যাবে, অনেক তারা সাফল্যের আলো ছড়াবে। তবে এই তরুণদের সাথে কথা বলে এটা বোঝা গেলো, বাধা এদের কাছে তুচ্ছ। স্বপ্ন নিয়েই সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে ওদের আছে দৃঢ় প্রত্যয়। তারুণ্যের স্বপ্ন আর প্রত্যয় কি কখনো বৃথা যেতে পারে! 

স্বপ্ন যখন আকাশ ছোঁয়ার

স্বপ্ন যখন আকাশ ছোঁয়ার 

   
স্বপ্ন যখন আকাশ ছোঁয়ার
আমরা সবাই সফল হতে চাই, তবে সফল হতে পারি ক’জন? অনেক সময় কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের পরও সফলতার দেখা মেলে না। এজন্য আমরা দোষারোপ করি ভাগ্য বা পারিপার্শ্বিকতাকে। হয়তো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাই সমাজ, পরিবার বা শিক্ষা ব্যবস্থাকে। 

তবে সফলতার জন্য কাজ করতে হয় কার্যকরভাবে। এর জন্য আহামরি ভাগ্যবান না হলেও চলে। সফলতার জন্য চাই কিছু অতি সহজ কাজ, যা আমাদের দ্রুতই গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। আসুন জেনে নেই কী সেই কাজ।

শিক্ষাগ্রহণ
শিক্ষাজীবন যার যত বেশি সমৃদ্ধ তার জীবন যুদ্ধ ততই সহজ। আমরা সফলতাকে যদি একটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে গ্রহণ করি তবে অবশ্যই এর হাতিয়ার হল শিক্ষা। আমরা জীবন চলার পথে চ্যালেঞ্জ গ্রহণে ভয় পাই। যার মূলেই রয়েছে শিক্ষার অভাব। ভর্তিযুদ্ধ, চাকরির বাজার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই রয়েছে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি। যার মধ্যে কেবল যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিজের জায়গা করে নিতে হবে। শিক্ষাই তৈরি করে দিবে এই যোগ্যতা।

বিশ্বাস রাখা
অনেকের মধ্যেই দো’টানা ভাব দেখা যায়। আমার দ্বারা হবে না, আমি পারবো না, আমি কী সত্যিই পারবো? এ ধরনের নানাবিধ ভয় আমাদের মাঝে ভর করে। যা শুধু হতাশা আর পিছিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কিছু দেয় না। এই হতাশা, ভয় আর দো’টানা ভাব দূর করতে চাই নিজের উপর বিশ্বাস। কেউ একজন যদি পারে তবে অবশ্যই আমিও পারবো। এ ধরনের দৃঢ় বিশ্বাস  রাখা উচিত।

স্বপ্ন দেখা
আমরা অনেক বেশি স্বপ্ন দেখি। তবে এমন স্বপ্ন দেখতে নারাজ যা আমাদের ঘুমাতে দেয় না। অনেকে আবার স্বপ্ন দেখতে ভয় পান। হয়তো ভাবেন স্বপ্ন দেখাটা অন্যায়। অথচ মানুষ তার স্বপ্নের বড়, স্বপ্ন দেখতে পারাটাই সাহসীকতার পরিচয়। কারণ সফল ব্যক্তিরা স্বপ্ন লালন করতেন। 

লক্ষ্য নির্ধারণ
স্বপ্নকে যখন সময়ের ফ্রেমে আটকানো যাবে তখনই তা হবে লক্ষ্য নির্ধারণ। আমরা এমন অনেক কিছু চাই, তবে তা কখন চাই- তা ঠিক করি না। যার ফলে তা কখনোই পাওয়া হয় না। চাওয়াকে পাওয়াতে পরিণত করতে আগে লক্ষ্যটাকে নির্ধারণ করতে হবে।

পরিকল্পনা 
সফলতার পেছনে পরিকল্পনা অপরিহার্য। কঠোর পরিশ্রমের পরেও সফল না হওয়ার কারণ পরিকল্পনাহীন কাজ। পরিকল্পনা একটি কাজের অনেকটাই এগিয়ে দেয়। আমরা জানি, ‘পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি’/ তবে আমরা এখন থেকে মাথায় রাখবো- কায়িক পরিশ্রম নয়, বুদ্ধিদীপ্ত পরিশ্রম সফলতার সোপান।

শেষকথা
উপরের কাজগুলো সম্পাদনের পর আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো ‘কাজ করা’ আত্মবিশ্বাস রেখে সঠিক শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের স্বপ্ন ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে পরিকল্পনামাফিক কাজ করা। কাজ, কাজ আর কাজই হোক আমাদের একমাত্র কাজ।

love


Sunday, May 14, 2017

বিখ্যাত লোকদের কিছু বিখ্যাত “উক্তি”


বিখ্যাত লোকদের কিছু বিখ্যাত “উক্তি” 

পৃথিবীর বিখ্যাত লোকদের কিছু বিখ্যাত উক্তি যা আমাদের জীবনে প্রয়োগ করলে হয়তো আমাদের জীবন অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।
“ মাত্র দুটি পন্থায় সফল হওয়া যায়! একটি হচ্ছে সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা, ঠিক যা তুমি করতে চাও। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া॥ 
মারিও কুওমো।
“ অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন॥ 
ডেল কার্নেগি।
“ হ্যাঁ এবং না কথা দুটো সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে ছোট।
কিন্তু এ কথা দুটো বলতেই সবচেয়ে বেশি ভাবতে হয়॥ 
পীথাগোরাস।
“ ঝগড়া চরমে পৌঁছার আগেই ক্ষান্ত হও॥ ”
—হযরত সোলায়মান (আঃ)।
“ তুমি যদি কোনো লোককে জানতে চাও, তা হলে তাকে প্রথমে ভালবাসতে শেখো॥ 
—লেলিন।
“ একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রনা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে অপমান ভোলে না॥ 
—জর্জ লিললো।
“ দুর্ভাগ্যবান তারাই যাদের প্রকৃত বন্ধু নেই॥ 
—অ্যারিস্টটল।
“ বিশ্বাস জীবনকে গতিময়তা দান করে, আর অবিশ্বাস জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে॥ 
—মিল্টন।
“ আল্লাহর ভয় মানুষকে সকল ভয় হতে মুক্তি দেয়॥ 
—ইবনে সিনা।
“ স্বপ্নপূরণই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তাই বলে, স্বপ্নকে ত্যাগ করে নয়, তাকে সঙ্গে নিয়ে চলো। স্বপ্ন ছাড়া জীবন অর্থহীন॥ ”
—ব্রায়ান ডাইসন।
“ এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না। যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে॥ 
—আইনস্টাইন।
“ নতুন দিনই নতুন চাহিদা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়॥ ”
—জন লিভেগেট।
“ যেখানে পরিশ্রম নেই সেখানে সাফল্যও নেই॥ 
উইলিয়াম ল্যাংলয়েড।
“ সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বারবার বললে মিথ্যার মতো শোনায়। মিথ্যা বারবার বলতে হয়; মিথ্যা বারবার বললে সত্য ৰলে মনে হয়॥ ”
—হুমায়ূন আজাদ।
“ যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তাকে কেউ সাহায্য করতে পারে না॥ ”
—জন এন্ডারসন।
“ চিন্তা কর বেশি, বল অল্প এবং লেখ তার চেয়েও কম॥ 
—জন রে।
“ সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে চেনা এবং সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যদেরকে উপদেশ দেয়া॥
থেলিস।
“ যে নিজেকে দমন করতে পারে না সে নিজের জন্যেও বিপদজনক এবং অন্য সবার জন্যেও॥ ”
থেলিস।
“ সফলতা সুখের চাবিকাঠি নয় বরং সুখ হল সফলতার চাবিকাঠি। আপনার কাজকে যদি আপনি মনে প্রানে ভালবাসতে পারেন অর্থাৎ যদি আপনি নিজের কাজ নিয়ে সুখী হন তবে আপনি অবশ্যই সফল হবেন॥ ”
—Albert Schweitzer.
“ আমি বলবনা আমি ১০০০ বার হেরেছি, আমি বলবো যে আমি হারার ১০০০ টি কারণ বের করেছি॥
—টমাস আলভা এডিসন।
“ যে বিজ্ঞানকে অল্প জানবে সে নাস্তিক হবে, আর যে ভালো ভাবে বিজ্ঞানকে জানবে সে অবশ্যই ঈশ্বরে বিশ্বাসী হবে॥ 
—ফ্রান্সিস বেকন।
“ সত্যকে ভালবাস কিন্তু ভুলকে ক্ষমা কর॥ 
ভলতেয়ার।
“ আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেইস্বপ্নে আস্থা ছিল। আর আমি কাজটা ভালোবাসতাম। ফেসবুক বিফল হলেও আমার ভালোবাসাটা থাকত। জীবনে একটা স্বপ্ন থাকতে হয়, সেই স্বপ্নকে ভালোও বাসতে হয়॥ 
—মার্ক জুকারবার্গ।
“ যে পরিশ্রমী সে অন্যের সহানুভূতির প্রত্যাশী নয়॥ 
—এডমণ্ড বার্ক।
“ পৃথিবীতে সবাই জিনিয়াস; কিন্তু আপনি যদি ১ টি মাছকে তার গাছ বেয়ে উঠার সামর্থ্যের উপর বিচার করেন তাহলে সে সারা জীবন নিজেকে শুধু অপদার্থই ভেবে যাবে॥ 
—আইনস্টাইন।
“ আমি ব্যর্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমি চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা॥ 
—মাইকেল জর্ডান।
“ প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক; কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশী বিপদজনক॥ ”
—আব্রাহাম লিংকন।
‘‘ যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি॥ ’’
—আইনস্টাইন।
“ যারা বলে অসম্ভব, অসম্ভব তাদের দুয়ারেই বেশি হানা দেয়॥ 
—জন সার্কল।
“ আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে। পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুন্ঠিত হই॥ 
—প্রমথ চৌধুরী।
“ তোমার বন্ধু হচ্ছে সে, যে তোমার সব খারাপ দিক জানে; তবুও তোমাকে পছন্দ করে॥ ”
—অ্যালবার্ট হুবার্ড।
“ স্কুলে যা শেখানো হয়, তার সবটুকুই ভুলে যাবার পর যা থাকে; তাই হলো শিক্ষা॥ ”
—অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।
“ আমি আপনাকে কখনও ভালবাসতে না বলে যুদ্ধ করতে বলি। কারণ যুদ্ধে হয় আপনি বাঁচবেন না হয় মরবেন। কিন্তু ভালবাসাতে না পারবেন বাঁচতে; না মরতে॥ 
—এডলফ হিটলার।
“ যারা কাপুরুষ তারাই ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকে, পুরুষ চায় নিজের শক্তির দিকে। তোমার বাহু, তোমার মাথা তোমাকে টেনে তুলবে, তোমার কপাল নয়॥ ”
—ডঃ লুৎফর রহমান।
“ বাঙালি সমালোচনা সহ্য করে না; নিজেকে কখনো সংশোধন করেনা। নিজের দোষত্রুটি সংশোধন না করে সেগুলোকে বাড়ানোকেই বাঙালি মনে করে সমালোচনার যথাযথ উত্তর॥ 
—হুমায়ুন আজাদ।
“ কাল আমার পরীক্ষা। কিন্তু এটা আমার কাছে বিশেষ কোন ব্যাপারই না, কারন শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতার কয়েকটা পাতাই আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারন করতে পারেনা॥ 
—টমাস আলভা এডিসন।
“ সবাই অনেকদিন বাঁচতে চায়, কিন্তু কেউই বুড়ো হতে চায় না॥ 
—জোনাথন সুইফট।
“ ছেলেদের মদ্ধে বন্ধুত্ব নষ্টের অন্যতম দুইটি কারণ- টাকা এবং মেয়ে। সব সময় এই দুইটি জিনিস বন্ধুত্ব থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করুন॥ 
“ পৃথিবী জুড়ে প্রতিটি নরনারী এখন মনে করে তাদের জীবন ব্যর্থ, কেননা তারা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হতে পারেনি॥ 
—হুমায়ুন আজাদ।
“ তুমি যখন প্রেমে পড়বে তখন আর তোমার ঘুমাতে ইচ্ছে করবেনা; কারণ তখন তোমার বাস্তব জীবন স্বপ্নের চেয়ে আনন্দময় হবে॥ 
—Dr. Seuss.
“ একবার পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে আমি ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সব বিষয়েই পাশ করে। এখন সে মাইক্রোসফটের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা॥ 
—বিল গেটস।
“ টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভাল॥ 
—সক্রেটিস।
“ জন্মদিনের উৎসব পালন করাটা বোকামি। জীবন থেকে একটা বছর ঝরে গেল, সে জন্যে অনুতাপ করাই উচিত॥ ”
—নরম্যান বি.হল।
“ সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে॥ 
—আল হাদিস।
“ আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা আপনার দোষ॥ ”
—বিল গেটস।
“ সুন্দর একটা মানুষ না খুঁজে, সুন্দর একটা মন খুঁজো, তাহলে ভালবাসার সফলতা আসবে॥ 
“ যে তোমাকে কষ্ট দেয় তাকে তুমি ভালবাসো। আর যে তোমাকে ভালবাসে তাকে তুমি কষ্ট দিওনা। কারণ পৃথিবীর কাছে হয়তো তুমি কিছুই নও, কিন্তু কারো কাছে হয়তোবা তুমিই তার পৃথিবী॥ ”
 যে যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে সেই বিষয়ে শিক্ষিত, কাজেই সবাই শিক্ষিত॥ ”
—নেপোলিয়ান।
 যে দৃষ্টির সঙ্গে মনের যোগাযোগ নেই সে তো দেখা নয়, তাকানো॥ ”
—যাযাবর।
 সেই যথার্থ মানুষ যে জীবনের পরিবর্তন দেখেছে এবং পরিবর্তনের সাথে নিজেও পরিবর্তিত হয়েছে॥ 
—বায়রন।
“ অন্যকে বারবার ক্ষমা কর কিন্তু নিজেকে কখনোই ক্ষমা করিও না॥ ”
—সাইরাস।
 কান্নায় অনন্ত সুখ আছে তাইতো কাঁদতে এত ভালোবাসি॥ ”
—স্বামী বিবেকানান্দ।
 জ্ঞানের ন্যায় পবিত্র বস্তু জগতে আর কিছুই নেই॥ 
—পবিত্র গীতা।
 যৌবন যার সৎ, সুন্দর ও কর্মময় তার বৃদ্ধ বয়সকে স্বর্ণযুগ বলা হয়॥ ”
—জর্জ গ্রসভিল।
 আমি চলে গেলে যদি কেউ না কাঁদে  তবে আমার অস্তিত্বের  কোন মূল্য নেই॥ 
—সুইফট।
 বন্ধুর সাথে এমন ব্যাবহার কর যেন বিচারকের শরণাপন্ন হতে না হয়॥ 
—প্লেটো।
 অসৎ ব্যক্তি সৎ ব্যক্তির কাজের মধ্যে কোন মহৎ উদ্দেশ্য খুঁজে পায় না॥ 
—জন বেকার।
 সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ॥ 
—হযরত আলী (রাঃ)।
 আগুন দিয়ে যেমন লোহা চেনা যায় তেমনি মেধা দিয়ে মানুষ চেনা যায়॥ 
—জন এ শেড।
 সময় বেশি লাগলেও ধৈর্য সহকারে কাজ কর, তাহলেই প্রতিষ্ঠা পাবে॥ 
—ডব্লিউ এস ল্যান্ডের।
 একজন অলস মানুষ স্বভাবতই খারাপ মানুষ॥ 
—এস টি কোলরিজ।
 সাহস নিয়ে বেঁচে থাকো না হয় মরে যাও॥ 
—মেরিডিথ।
 সৎ লোক সাতবার বিপদে পড়লে আবার উঠে কিন্তু অসৎ লোক বিপদে পড়লে একবারে নৃপাত হয়॥ 
—হযরত সোলায়মান (আঃ)।
 যদি তুমি কখনো অপমানিত বোধ কর তবে অপরকে সেটা বুঝতে দেবে না॥ 
—জন বেকার।
 যে মন খুলে হাসতে পারে না, সেই পৃথিবীতে সবচেয়ে অসুখী॥ 
—জন লিলি।
“ ভালোবাসার জন্য যার পতন হয় সে বিধাতার কাছে আকাশের তারার মত উজ্জ্বল॥ 
—জনসন।
 পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে কুঁড়ে ঘরে থাকাও ভালো, অতৃপ্তি নিয়ে বিরাট অট্টালিকায় থাকার কোন সার্থকতা নেই॥ 
—উলিয়ামস হেডস।
“ প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন॥ 
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
 সেই সত্যিকারের মানুষ যে অন্যের দোষত্রুটি নিজেকে দিয়ে বিবেচনা করতে পারে॥ 
—লর্ড হ্যলি ফক্স।
 সবার সাথে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন॥ 
—মার্ক টোয়েন।
 পুরুষের লক্ষ্য রাখা উচিত যত দিন বেশী তারা অবিবাহিত জীবনযাত্রা করতে পারে॥ 
—জর্জ বার্নাডস।
 যে সহজ সরল জীবনযাপন করে সুখ তার জন্য অত্যন্ত সুলভ্য॥ 
—আলেকজান্ডার।
 বন্ধু হচ্ছে দুটি হৃদয়ের একটি অভিন্ন মন॥ 
—সক্রেটিস।
 যে সব দৃশ আমরা খুব মন লাগিয়ে দেখতে চাই সে সব দৃশ্য কখনো ভালভাবে দেখতে পারি না সেই সব দৃশ্য অতি দ্রুত চোখের সামনে দিয়ে চলে যায়॥ 
—রবার্ট ফ্রস্ট।
 ভাগ্য বলে কিছুই নেই, প্রত্যেকের চেষ্টা ও যত্নের উপর তা গড়ে উঠে॥ 
—স্কট।
 বিদ্ধানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র॥ 
—আল হাদিস।
 
Back To Top
Copyright © 2014 আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন। . Shared by Themes24x7